বিয়ে কি সবার জীবনে জরুরি??
কলমে : দোলনা তৃষা বড়ুয়া
কন্ঠে : পার মিতা
আমি ছেড়ে দিবো তাদের নিজের মতো করে বাঁচতে। এই যে ভগবান আছে বলিস। তিনি চাইলে হবে সন্তান। না দিলে কাকে দোষ দিবো বল? তাছাড়া কত ছোট বয়সে বিয়ে হওয়া পর ও অনেক মেয়েদের তো বেবি হয় না। এতে কার দোষ বল। আমি বলছি না অন্যরা বিয়ে করবে না। করুক না। আমাকে থাকতে দেই না রে ঠিক আমার মতো। অনেক কিছু পাওয়ার আছে স্বামীর শাড়ি গয়না ছাড়াও।
বিশ বছরে বিয়ে করে চল্লিস না পেরোতেই, মেয়ের বিয়ে দিয়ে মা মেয়ে দেখতে একই রকমের শরীর বানিয়ে পান চিবিয়ে চিবিয়ে শশুড় বাড়ির ঢালা খুলে বসা আমাকে দিয়ে জাস্ট হবে না রে। চল্লিস না পেরোতেই ছেলের বৌ দের সাথে সংসার সংসার খেলে, নিজের অপ্রাপ্তি তাদের ইচ্ছের পথে দাঁড় করিয়ে সত্যিই আমি সার্থক মা হতে কখনো চাইবো না। কখনোই না।
যার সাথে জীবন কাটাবো সে প্রতিদিনের কাজ সেরে পাশ ফিরে বালিশ জড়িয়ে ঘুমাবে। আমার মনের খোঁজ ও নেবে না। আমাকে সম্মান করবে না। আমার মূল্যায়ন করবে না।এমন জীবন সঙ্গি চাই না রে।
এমন জীবন সঙ্গী পেয়ে তোরা কতটা ভালো আছিস বল তো আমাকে? নিয়েছে কোনদিন মনের খবর। দিয়েছে মূল্যায়ন? নাকি তুমি কি বুঝবে ওসবের এতেই থামিয়ে দিয়েছে?।
আমাকে সম্মান করবে, বিয়ে করে অধিকার গত বউ নয়, সমান অংশীদারের মতো মূল্যায়ন করবে এমন কাউকে খুঁজে না পেলে থাকি না আরো দশ বছর অবিবাহিত। কি হবে তাতে?
জানিস দশ বছর ধরে শিক্ষকতা করছি। রাস্তা দিয়ে যখন হেটে যাই, তখন আমার চেয়ে মাথা উচু কত ছেলে মেয়ে সম্মানে মাথা ঝুকিয়ে নেয়। এইটা পাওয়া যে কত সম্মানের তা কি করে বুঝবি। এত কম বয়েসী স্কুলের সেরা শিক্ষিকা হওয়া আমার কাছে অর্জন। তোদের কাছে যেটা সংখ্যা, বিশ্বাস কর আমার কাছে ওটাই আমার অর্জন। বিশ্বাস কর আমি সত্যিই ভালো থাকার মতোই ভালো আছি। কোন আক্ষেপ নেই আমার। তোরাও প্লিজ বিশ্বাস করে নেয় না, আমি বেশ ভালোই আছি। আমার হাসিটা আমার ভাল থাকার স্বাধীনতা।