• কংসকে যোগমায়ার সতর্কবাণী
    Jan 30 2025

    শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণের দশম স্কন্ধে বর্ণিত হয়েছে যে, যখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেন, তখন যোগমায়া তাদের স্থান পরিবর্তনের পরিকল্পনা করেন। বসুদেব এবং দেবকীর অষ্টম সন্তান জন্মানোর পর, বসুদেব তাকে মথুরা থেকে গোকুলে নন্দ এবং যশোদার কাছে নিয়ে যান এবং যশোদার সদ্যজাত কন্যাকে মথুরাতে ফিরিয়ে আনেন। যোগমায়া দেবীর মাধ্যমে, সেই কন্যাটি কংসের হাত থেকে রক্ষা পান। কংস যখন সেই কন্যাকে হত্যা করার চেষ্টা করেন, তখন যোগমায়া দেবী নিজের শক্তি প্রকাশ করেন এবং কংসকে সতর্ক করে বলেন যে, তার মৃত্যুর কারণ মথুরার বাইরে জন্মেছে এবং সে তাকে আর কিছুতেই রক্ষা করতে পারবে না। এই কথাটি শোনার পর, কংস আরও ভীত হয়ে পড়েন এবং মথুরার সমস্ত শিশুদের হত্যা করার আদেশ দেন। এই ঘটনার মাধ্যমে, যোগমায়া কংসকে সতর্ক করেন এবং তাকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অবহিত করেন। আমি আশা করি, এই সংক্ষিপ্তসারটি আপনার কাজে লাগবে। আরো কিছু জানতে চাইলে, আমাকে জানানজানানজানানজানান

    Show more Show less
    9 mins
  • ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব
    Jan 29 2025

    এই অধ্যায়ে, বসুদেব ও দেবকীর বহু কষ্টের মধ্যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়। এই বিশেষ মুহূর্তে, সমস্ত প্রকৃতি শান্ত হয়ে যায় এবং আনন্দময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মের পর, দেবতারা প্রশংসা করেন ও আনন্দিত হন। বসুদেব ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে নিয়ে নন্দগোপাল ও যশোদার ঘরে পৌঁছে দেন এবং তাদের হাতে শ্রীকৃষ্ণকে তুলে দেন। এর মাধ্যমে কৃষ্ণের মাতৃকূল যশোদা হন এবং তারা তাঁকে অত্যন্ত ভালবাসায় ও যত্নে প্রতিপালন করেন।


    এই হল ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম বৃত্তান্তের সংক্ষিপ্তসার। আরও কোনো তথ্য বা প্রশ্ন থাকলে জানাবেন!

    Show more Show less
    13 mins
  • গর্ভস্থ শ্রীকৃষ্ণের কাছে দেবতাদের প্রার্থনা
    Jan 28 2025

    শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণের দশম স্কন্ধের দ্বিতীয় অধ্যায়ে শ্রীকৃষ্ণের জন্মের প্রাক্কালে ঘটে যাওয়া কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী বর্ণিত হয়েছে। এই অধ্যায়টি প্রধানত কংসের ভয় ও তার পরবর্তী কার্যকলাপের ওপর কেন্দ্রীভূত।


    দৈববাণী শোনার পর কংস ভীষণ আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন এবং সিদ্ধান্ত নেন যে দেবকীর প্রতিটি সন্তানকে হত্যা করবেন। কংসের ভয়ে মথুরা রাজ্যের পরিস্থিতি খুবই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। এই সময়, দেবতারা ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ্বরের কাছে কংসের অত্যাচার থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করেন। দেবতাদের প্রার্থনার ফলে ভগবান বিষ্ণু আশ্বস্ত করেন যে তিনি শীঘ্রই ধরণীতে অবতীর্ণ হবেন এবং কংসসহ সকল অসুরদের বিনাশ করবেন।


    এই অধ্যায়ে দেবকীর সপ্তম গর্ভের সন্তানের অলৌকিক স্থানান্তর ঘটানোর কাহিনীও বর্ণিত হয়েছে। দেবী যোগমায়ার কৃপায় সেই সন্তানকে রোহিণীর গর্ভে স্থানান্তরিত করা হয়, এবং তিনি পরবর্তীকালে বলরাম নামে পরিচিত হন। এই অলৌকিক স্থানান্তর শ্রীকৃষ্ণের জন্মের পূর্বাভাস হিসেবে দেখা হয়।


    দ্বিতীয় অধ্যায়টি শেষ হয় যখন শ্রীকৃষ্ণের জন্মের সম্ভাবনায় সকল দেবতা আনন্দিত হন এবং ভগবান বিষ্ণুর পৃথিবীতে অবতরণের অপেক্ষায় থাকেন। এই অধ্যায়টি শ্রীকৃষ্ণের জন্মের প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং কংসের ভয়ের প্রতিফলন।


    আশা করি এই সংক্ষিপ্তসারটি আপনার জন্য সহায়ক হয়েছে। যদি আপনার আরও কিছু জানার থাকে, দয়া করে জানান! 😊

    Show more Show less
    12 mins
  • ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাবের পটভূমি
    Jan 27 2025

    শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণের দশম স্কন্ধের প্রথম অধ্যায়ে কংসের কাছে দৈববাণীর ঘটনার বর্ণনা রয়েছে, যা শ্রীকৃষ্ণের জন্ম এবং তার জীবনের ঘটনাগুলির প্রেক্ষাপট তৈরি করে। কাহিনীটি শুরু হয় যখন কংস তার বোন দেবকীকে তার বিবাহ অনুষ্ঠানে স্বামীর সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময়, আকাশ থেকে একটি দৈববাণী বা ঐশ্বরিক ঘোষণার শব্দ শোনা যায়, যেখানে বলা হয় যে দেবকীর অষ্টম পুত্র কংসকে হত্যা করবে। এই দৈববাণী শোনার পর, কংস অত্যন্ত আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন এবং সঙ্গে সঙ্গে দেবকী এবং তার স্বামী বাসুদেবকে কারাগারে নিক্ষেপ করেন। কংস তার রাজ্যে দুশ্চিন্তা ছড়িয়ে পড়ার আগে, ভীত হয়ে এই দৈববাণীকে সত্যি হতে দিতে চান না। তিনি দেবকীর প্রতিটি সন্তানকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন। একে একে দেবকীর সাতটি সন্তানকে হত্যা করা হয়। কিন্তু দেবকীর অষ্টম সন্তান শ্রীকৃষ্ণের জন্মের সময় এক অলৌকিক ঘটনা ঘটে। কারাগারের দরজা স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে যায়, প্রহরীরা গভীর নিদ্রায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন, এবং বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণকে মথুরা থেকে গোকুলে নিয়ে যান, যেখানে তিনি যশোদা এবং নন্দ মহারাজের কাছে সুরক্ষিতভাবে বড় হতে থাকেন। এই দৈববাণী এবং শ্রীকৃষ্ণের অলৌকিক জন্মের ঘটনাটি শ্রীকৃষ্ণের জীবনের একটি মূল অংশ, যা তাকে কংসের বিরুদ্ধে এবং ধর্মের প্রতিষ্ঠার জন্য প্রস্তুত করে তোলে।

    Show more Show less
    14 mins
  • দশম স্কন্ধের ভূমিকা
    7 mins