• অধ্যায় ২৪: পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণের বংশ পরিচয়
    Jan 13 2025

    নবম স্কন্দের ২৪তম অধ্যায়টি শ্রীকৃষ্ণের যাদব বংশের ইতিহাসের উপর আলোকপাত করে। যাদব বংশের রাজারা ছিলেন যোদ্ধা বংশের অন্তর্গত এবং তাদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন অত্যন্ত বীর ও সাহসী। উগ্রাসেন, যিনি শ্রীকৃষ্ণের দাদা ছিলেন, ছিলেন একজন মহান রাজা এবং তাঁর পুত্র কংস শ্রীকৃষ্ণের প্রধান প্রতিপক্ষ ছিলেন। এই অধ্যায়ে উগ্রাসেনের রাজত্ব, রাজনৈতিক কৌশল এবং বিভিন্ন যুদ্ধের বিবরণ দেওয়া হয়েছে। যাদব বংশের উত্থান এবং তাদের রাজত্বের দৌলতে যাদব বন মাতৃভূমিতে শক্তিশালী এবং স্থিতিশীল শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল। শ্রীকৃষ্ণের জন্ম এবং তাঁর বিভিন্ন কীর্তির মধ্য দিয়ে এই বংশের মহিমা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। শ্রীকৃষ্ণের যাদব বংশ হচ্ছে ভারতীয় পুরাণ ও ঐতিহ্যের অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শ্রীকৃষ্ণের পূর্বপুরুষগণের বীরত্ব ও সংঘটিত যুদ্ধের কাহিনী আমাদের শিখিয়ে দেয় কিভাবে সংগ্রাম ও আত্মবলিদান দিয়ে এক বংশের মহিমা ও গৌরব প্রতিষ্ঠা করা যায়। এই অধ্যায়টি যাদব বংশের উত্থান, শ্রীকৃষ্ণের ভূমিকা এবং তাদের ইতিহাস সংক্ষেপে বর্ণনা করে। আমি আশা করছি এই তিন প্যারাগ্রাফের সারমর্ম আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করতে পারবে। যদি কিছু আরো জানতে চান, অনুগ্রহ করে জানানhttps://youtu.be/kQ2O5RFKnzw?feature=shared। 📚✨

    Show more Show less
    13 mins
  • অধ্যায় ২৩: প্রাচীন ভারতভূমির ইতিহাস
    Jan 12 2025

    শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণ এর নবম স্কন্ধের ২৩তম অধ্যায়ে রাজা যযাতির পুত্রদের বংশধরদের বর্ণনা করা হয়েছে। যযাতির চতুর্থ পুত্র অনুর তিন পুত্র ছিল - সভানর, চক্ষু এবং পরেষ্ণু। সভানরের পুত্র ছিল কালনর, এবং কালনরের পুত্র ছিল সৃঞ্জয়। সৃঞ্জয়ের পুত্র ছিল জনমেজয়, এবং জনমেজয়ের পুত্র ছিল মহাশাল। মহাশালের পুত্র মহামনা, এবং মহামনার দুই পুত্র ছিল উশীনর এবং তিতিক্ষু। উশীনরের চার পুত্র ছিল - শিবি, বর, কৃমি এবং দক্ষ। শিবির চার পুত্র ছিল - বৃষাদর্ভ, সুধীর, মদ্র এবং কেকয়। তিতিক্ষুর পুত্র ছিল রুষদ্রথ, এবং রুষদ্রথের পুত্র ছিল হোম। হোমের পুত্র ছিল সুতপা, এবং সুতপার পুত্র ছিল বলি। বলির স্ত্রী থেকে ছয় পুত্র জন্মগ্রহণ করে - অঙ্গ, বঙ্গ, কলিঙ্গ, সুহ্ম, পুণ্ড্র এবং উড়্র। এই অধ্যায়ে মূলত যযাতির বংশধরদের বংশবৃদ্ধির কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে।

    Show more Show less
    8 mins
  • অধ্যায় ২২: কুরু-পান্ডবদের বংশ বিবরণ
    Jan 10 2025

    শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণের নবম স্কন্ধের ২২তম অধ্যায়ে বিভিন্ন রাজবংশের বংশপরম্পরা এবং তাদের বংশধরদের বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে মূলত পাণ্ডবদের পূর্বপুরুষদের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। দিবোদাসের পুত্র মিত্রেয়ুর চার পুত্র ছিল: চ্যবন, সুধাস, সহদেব এবং সোমক। সোমকের শত পুত্র ছিল, যাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় ছিল জন্তু এবং সবচেয়ে ছোট পৃষত। পৃষতের পুত্র দ্রুপদ এবং দ্রুপদের কন্যা দ্রৌপদী ও পুত্র ধৃষ্টদ্যুম্ন। অজমীঢ়ের দ্বিতীয় পুত্র ঋক্ষের পুত্র সংবরণ, যার বিবাহ হয় সূর্যের কন্যা তপতীর সাথে এবং তাদের পুত্র হয় কুরু। বৃহদ্রথের পুত্র কুশাগ্র, কুশাগ্রের পুত্র ঋষভ, ঋষভের পুত্র সত্যহিত, সত্যহিতের পুত্র পুষ্পবান এবং পুষ্পবানের পুত্র জহু। বৃহদ্রথের দ্বিতীয় স্ত্রীর গর্ভে জন্ম নেয় জরাসন্ধ, যাকে জরা নামক রাক্ষসী জীবিত করে তোলে। প্রতীপের তিন পুত্র: দেবাপি, শান্তনু এবং বালহীক। শান্তনু রাজা হন এবং তার পুত্র ভীষ্ম, যিনি মহাভারতের অন্যতম প্রধান চরিত্র। এই অধ্যায়ে মূলত বিভিন্ন রাজবংশের বংশপরম্পরা এবং তাদের বংশধরদের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে, যা মহাভারতের কাহিনীর পূর্বসূত্র হিসেবে কাজ করে।

    Show more Show less
    10 mins
  • অধ্যয় ২১: রাজা ভরতের কাহিনী
    Jan 9 2025

    শ্রীমদ্ভাগবতে শকুন্তলা এবং দুষ্মন্তের পুত্র রাজা ভরতের কাহিনী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং মনোমুগ্ধকর। শকুন্তলা ছিলেন ঋষি বিশ্বামিত্র এবং অপ্সরা মেনকার কন্যা। ঋষি কণ্ব তাকে লালন-পালন করেন। একদিন রাজা দুষ্মন্ত মৃগয়ায় এসে কণ্বের আশ্রমে শকুন্তলার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তারা পরস্পরের প্রেমে পড়েন। তাদের গান্ধর্ব বিবাহ সম্পন্ন হয় এবং শকুন্তলা গর্ভবতী হন। কিন্তু দুর্বাসা ঋষির অভিশাপের কারণে দুষ্মন্ত শকুন্তলাকে ভুলে যান। শকুন্তলা দুষ্মন্তের রাজসভায় উপস্থিত হলে, দুষ্মন্ত তাকে চিনতে পারেন না। অপমানিত শকুন্তলা বনে ফিরে যান এবং সেখানে তাদের পুত্র ভরতের জন্ম হয়। ভরত শৈশব থেকেই অত্যন্ত সাহসী এবং শক্তিশালী ছিলেন। তিনি সিংহের সঙ্গে খেলা করতেন এবং তার দাঁত গুনতেন। পরে, দুষ্মন্ত একটি মাছের পেট থেকে শকুন্তলার দেওয়া আংটি পেয়ে তাকে স্মরণ করেন এবং শকুন্তলা ও ভরতের সন্ধানে বের হন। অবশেষে, তিনি ভরতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং শকুন্তলার কাছে ফিরে যান। ভরত পরবর্তীকালে একজন মহান রাজা হন এবং তার নামানুসারে ভারতবর্ষের নামকরণ হয়। এই কাহিনী মহাভারত এবং শ্রীমদ্ভাগবতে বর্ণিত হয়েছে এবং এটি ভারতীয় সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

    Show more Show less
    7 mins
  • অধ্যায় ২০: দুষ্মন্ত এবং শকুন্তলার কাহিনী
    Jan 7 2025

    রাজা দুষ্মন্ত ছিলেন এক মহান রাজা, যিনি একদিন শিকার করতে করতে একটি আশ্রমে পৌঁছান। সেখানে তিনি শকুন্তলাকে দেখেন, যিনি ছিলেন ঋষি বিশ্বামিত্র এবং অপ্সরা মেনকার কন্যা। শকুন্তলা ছিলেন অত্যন্ত সুন্দরী এবং গুণবতী। দুষ্মন্ত এবং শকুন্তলার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং তারা গন্ধর্ব বিবাহে আবদ্ধ হন। কিছুদিন পর, রাজা দুষ্মন্তকে রাজ্যে ফিরে যেতে হয় এবং তিনি শকুন্তলাকে প্রতিশ্রুতি দেন যে তিনি তাকে রাজপ্রাসাদে নিয়ে যাবেন। কিন্তু, দুর্ভাগ্যবশত, শকুন্তলা এক ঋষির অভিশাপে দুষ্মন্তের স্মৃতি থেকে মুছে যান। শকুন্তলা একা হয়ে পড়েন এবং তাদের সন্তান ভরতকে জন্ম দেন। পরে, দুষ্মন্ত যখন শকুন্তলার সন্তান ভরতকে দেখে, তখন তার স্মৃতি ফিরে আসে এবং তিনি শকুন্তলাকে স্বীকৃতি দেন। এই কাহিনী থেকে আমরা প্রেম, প্রতিশ্রুতি এবং ধৈর্যের মূল্য শিখতে পারি।

    Show more Show less
    9 mins
  • অধ্যায় ১৯: রাজা যযাতির মুক্তিলাভ
    Jan 7 2025

    রাজা যযাতির কাহিনী মহাভারত এবং পুরাণে উল্লেখিত একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। যযাতি ছিলেন চন্দ্রবংশের একজন প্রসিদ্ধ রাজা। তিনি শুক্রাচার্যের কন্যা দেবযানী এবং রাজা বৃষপর্বার কন্যা শর্মিষ্ঠাকে বিয়ে করেছিলেন। যযাতি তার যৌবনকালে শর্মিষ্ঠার প্রতি আকৃষ্ট হন এবং তাদের সম্পর্কের কথা জানতে পেরে দেবযানী তার পিতার কাছে অভিযোগ করেন। শুক্রাচার্য যযাতিকে বার্ধক্যের অভিশাপ দেন। যযাতি তার পুত্রদের কাছে তাদের যৌবন চেয়ে নেন, কিন্তু কেবলমাত্র পুরু তার পিতার অনুরোধে সাড়া দেন। পুরু তার যৌবন পিতাকে দান করেন এবং যযাতি পুনরায় যৌবন লাভ করেন। বহু বছর পর, যযাতি তার ভুল বুঝতে পারেন এবং পুরুকে তার যৌবন ফিরিয়ে দিয়ে নিজে বার্ধক্য গ্রহণ করেন। এইভাবে তিনি মুক্তিলাভ করেন এবং স্বর্গে গমন করেনকরেন।

    Show more Show less
    7 mins
  • অধ্যায় ১৮: যযাতির নবযৌবন প্রাপ্তি
    Jan 4 2025

    শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণের অষ্টাদশ অধ্যায়ে রাজা যযাতির কাহিনি বর্ণিত হয়েছে। রাজা যযাতি ছিলেন নাহুষের পুত্র এবং চন্দ্রবংশের একজন প্রসিদ্ধ রাজা। তিনি দেবযানী এবং শর্মিষ্ঠার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। দেবযানী ছিলেন শুক্রাচার্যের কন্যা এবং শর্মিষ্ঠা ছিলেন অসুর রাজা বৃশপর্বার কন্যা।

    যযাতির জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে যখন তিনি তার যৌবন হারিয়ে ফেলেন এবং তার পুত্রদের মধ্যে যৌবন বিনিময়ের প্রস্তাব দেন। তার পুত্র পুরু তার পিতার জন্য তার যৌবন দান করেন, এবং যযাতি পুনরায় যৌবন লাভ করেন। পরে যযাতি তার পুত্র পুরুকে আশীর্বাদ করেন এবং তাকে রাজ্য প্রদান করেন। পুরুর বংশধররা পরবর্তীতে কুরুক্ষেত্রের রাজা হন।

    এই কাহিনি থেকে আমরা শিখি যে কামনা ও বাসনার পরিণতি কী হতে পারে এবং কিভাবে আত্মসংযম ও ত্যাগের মাধ্যমে প্রকৃত সুখ লাভ করা যায়।

    Show more Show less
    11 mins
  • অধ্যায় ১৭: রাজা পুরূরবার পুত্রদের বংশ বিবরণ
    Jan 4 2025

    এই পডকাস্টে রাজা পুরূরবার পুত্রদের বংশধরের বিস্তৃত বর্ণনা আছে। পুরূরবা ছিলেন চন্দ্রবংশের একজন মহান রাজা। তার পুত্রদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন আয়ু। আয়ুর পুত্রদের মধ্যে পাঁচজন প্রধান পুত্র ছিলেন: নহুষ, কশ্যপ, যয়ন্ত, নীল এবং রজী। এই পুত্রদের মধ্যে নহুষ ছিলেন সবচেয়ে বিখ্যাত এবং তিনি পরবর্তীতে ইন্দ্রের আসন লাভ করেন।

    নহুষের পুত্র ছিলেন যযাতি, যিনি তার পুত্রদের মধ্যে পুরুর হাতে রাজত্ব অর্পণ করেন। পুরুর বংশধরদের মধ্যে অনেক মহাপুরুষ জন্মগ্রহণ করেন, যারা ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতার পথে অগ্রসর হন।

    এই বংশের কাহিনী শ্রীমদ্ভাগবতে বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে, যা আমাদেরকে প্রাচীন ভারতের রাজবংশের ইতিহাস এবং তাদের ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক কার্যকলাপ সম্পর্কে জানায়।

    Show more Show less
    4 mins